পঞ্চগড়ের বোদায় কবর থেকে আরও ১৪টি লাশ চুরির খবর পাওয়া গেছে। বুধবার (২৬ জানুয়ারি) বোদা উপজেলার সাকোয়া ইউনিয়নের কইকিল্লা গোরস্থানে ঘটনাটি ঘটে। এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হলে উৎসুক মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে।
খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোলেমান আলী ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী জানান, কইকিল্লা গোরস্থানে বুধবার সকালে কয়েকটি কুকুর একটি কবরের পাশে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। তিনি কবরের পাশে গিয়ে দেখেন মাটি সরানো ও মাঝের বাঁশগুলো অন্যত্র রাখা দেখতে পান। তাৎক্ষণিক বিষয়টি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে স্বজনেরা কবর দেখতে আসেন। খবর নিয়ে দেখা যায় মছির উদ্দীন, আব্দুর রহমান, মাহাবুব আলম, নকিবুল, লিলিমা, আম্বিয়াসহ ১৪টি কবরের মাটি এবং বাঁশ একই কায়দায় ওঠানো হয়েছে।
ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন ও মোজাফফর বলেন, “পরপর দুই দিন এ ঘটনায় এলাকাবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে এভাবে চলতে থাকলে আমরা আমাদের স্বজনদের কীভাবে দাফন করব। আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।”
সাকোয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সায়েদ জাহাঙ্গীর হাসান সবুজ বলেন, “খবর শুনে আমি সেখানে গিয়েছিলাম। কিছু কবরের মাটি ও বাঁশ বিচ্ছিন্নভাবে দেখা গেছে। প্রকৃত ঘটনা বোঝা যাচ্ছে না। তবে একটি পাকা কবরের দুটি কম্বল পাওয়া গেছে।”
বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, “খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থানে আসি। এ ঘটনাটি অনেক দিন হতে চলে আসছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে সোর্স লাগানো হয়েছে। প্রয়োজনে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।”
বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোলেমান আলী বলেন, “যেহেতু বিষয়টি স্পর্শকাতর সে কারণে অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন। প্রাথমিকভাবে গোরস্থান কমিটিকে আইনের সহায়তা নিতে বলা হয়েছে। তারা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদনের করলে সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত নির্দেশ দিলে কবরের কী অবস্থা তা জানা যাবে।”
এর আগে মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) একই উপজেলার চন্দনবাড়ী ইউনিয়নের সরকার পাড়া গ্রামের একটি পুরাতন কবরস্থান থেকে ১২টি লাশ চুরি যাওয়ার অভিযোগ করে স্থানীয়রা।